মার্কিন সিইও হত্যাকাণ্ড, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিপজ্জনক প্রভাব
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পিএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে ইউনাইটেডহেলথ এর সিইও ব্রায়ান থম্পসনের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য এবং সহিংসতার আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই ধরনের অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি বাস্তব জীবনে বিপজ্জনক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
চলতি ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে ইউনাইটেডহেলথের সিইও ব্রায়ান থম্পসন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এই ঘটনাটি দেশের স্বাস্থ্য বীমা ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ উস্কে দিয়েছে। রোগী ও অধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানিগুলো সাশ্রয়ী চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ। থম্পসনের হত্যার পর থেকে অনলাইনে এই ক্ষোভ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সহিংসতার আহ্বানে রূপ নিয়েছে।
থম্পসনের মৃত্যুর পর সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে। কিছু পোস্টে মিথ্যা দাবি করা হয় যে, থম্পসনের স্ত্রী তাদের দাম্পত্য সমস্যার কারণে এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত। অন্যরা আবার অভিযোগ করে, সাবেক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এই হত্যার পেছনে আছেন।
ভুল তথ্য ছড়ানোর আরেকটি উদাহরণ হল, একটি পুরনো ভিডিও যেখানে অন্য একজন ব্রায়ান থম্পসন পেলোসির সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছিলেন। এটি ২০১২ সালের একটি ক্লিপ, তবে সেটিকে ইউনাইটেডহেলথ সিইওর ভিডিও বলে দাবি করা হয়। এর সত্যতা জানাতে ওই ব্যক্তি পোস্ট দিলেও, তার পোস্ট মাত্র ১৫০ জন দেখেন, যখন মিথ্যা ভিডিওটি কয়েক লক্ষবার দেখা হয়েছে।
এছাড়াও, সামাজিক মাধ্যমে "সিইও অ্যাসাসিন" এবং "হু’স নেক্সট" হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিভিন্ন সিইওদের লক্ষ্য করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, ব্লু ক্রস ব্লু শিল্ড, হুমানার সিইও জিম রেক্টিন, এবং ইউনাইটেডহেলথ গ্রুপের অ্যান্ড্রু উইটিকে সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম সহিংসতার গল্পগুলোকে প্রচার করতে বড় ভূমিকা রাখছে। অভিযোগ রয়েছে, ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এক্স এবং মেটা-মালিকানাধীন ফেসবুকে এই ধরনের ভুয়া তথ্য ও সহিংসতার আহ্বান ছড়িয়ে পড়ছে। নিরাপত্তা কোম্পানি সাইব্রার প্রধান ড্যান ব্রাহমি বলেন, “ঘৃণা এবং ভুল তথ্য অনলাইনে ছড়ালে সেটি বাস্তব সহিংসতায় রূপ নিতে পারে।”
থম্পসনের হত্যাকাণ্ডের পর, যুক্তরাষ্ট্রে বড় কর্পোরেশনগুলো তাদের শীর্ষ নির্বাহীদের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। অনেক নির্বাহীকে তাদের ডিজিটাল প্রোফাইল মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন লুইজি মানজিওনের সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা সামাজিক মাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত প্রভাবেরই আরেকটি উদাহরণ।
সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও সহিংসতার আহ্বান কেবল অনলাইন প্ল্যাটফর্মেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং বাস্তব জীবনে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে কোম্পানি, সরকার এবং ব্যবহারকারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে তথ্য এবং মতামতের অপব্যবহার বন্ধ করা যায়। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিন
আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং এর হামলায় আহত ৩
মাদারীপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম
তোমাদের হাতে উড়তে থাকবে সমৃদ্ধ স্বনির্ভর বাংলাদেশের বিজয় কেতন - সাভার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোঃ মঈন খান
দৌলতপুরে পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান : গ্রেফতার-২
ব্রাহ্মণপাড়ায় বোরো ধানের বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা
পাকিস্তানে সামরিক আদালতে ২৫ বেসামরিক ব্যক্তির সাজায় উদ্বিগ্ন ইইউ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে এনে সকল অপকর্মের বিচার করতে হবে : কাইয়ুম চৌধুরী
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিব এর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত
ভারতের সাথে চুক্তি সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর
খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড বিচার নিশ্চিত করতে হবে-বাংলাদেশ ইসলামী দল
উগ্রবাদী সাদপন্থীদের বিচার নিশ্চিতকরণ এবং কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি
কালিয়াকৈর নিট এশিয়ায় টেক্সটাইলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাইং কারখানায় আগুন
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন
একনেকে দুই হাজার কোটি টাকায় ১০ প্রকল্প অনুমোদন
মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হামলা হুথিদের, যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্রসহ মাদক উদ্ধার